আগামী ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব যখন এই ঘোষণা দিচ্ছিলেন, তার আধা ঘণ্টা আগে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর ঠিকঠাক বসানো হয় টু-এফ নম্বর স্প্যানটি। এর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এই সেতুর পুরো মূল কাঠামো দৃশ্যমান হয়। তৈরি হয় রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পথ।
পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসার কথা তুলে ধরে আনোয়ারুল বলেন, ‘নাও ইট ইজ ফিজিক্যালি কমপ্লিট।… আই থিঙ্ক, বাই জুন ২০২২, উই উইল ওপেন দ্য পদ্মা ব্রিজ।’
নিজের মোবাইলে থাকা পদ্মা সেতুর পুরো কাঠামোর একটি ছবি অনুষ্ঠানস্থলের প্রজেক্টরে দেখিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমি আট বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম। ফলে আমি এখনও এর দেখাশোনা করে থাকি।’
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুর কাদের জানিয়েছেন, সেতুর পুরো মূল কাঠামো দৃশ্যমান হওয়ায় এখন দ্বিতল এই সেতুর ঢালাইয়ের কাজ, অ্যাপ্রোচ রোড ও ভায়াডাক্ট প্রস্তুত করা, রেলের জন্য স্ল্যাব বসানো হয়ে গেলেই এটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। কি-নোট উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।
প্যানেল আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী নাহার, ইকোনোমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির, মেট্রোপলটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইউরোপ ইউনিয়নের হেড অব ডেলকেশন এবং ঢাকা নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংক।