আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। উভয়পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বৈঠকের তারিখ ও সময় চূড়ান্ত করা হয়েছে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সামনে রেখে এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, একই সঙ্গে ভারতের ক্রেডিট লাইনের আওতায় দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এটিই আলোচনা প্রাধান্য পাবে।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এক থেকে দেড় ঘণ্টা এ বৈঠক হতে পারে।
সূত্র জানায়, আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে ঢাকায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে তিনি ঢাকায় আসবেন।
এ ছাড়া দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ও সফর সামনে রেখে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এ সফর এখন অনেকটা অনিশ্চিত।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এ বছর মুজিববর্ষ পালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে বলে আমরা আশা করছি। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া আসন্ন বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে। এ বৈঠকের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।