প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে রবিবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে চমৎকারভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা আরও জোরদার করার ইচ্ছা পোষণ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় আমার মনের মধ্যে আছে।’
আজ রোববার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর এবং দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এতে যুক্ত ছিলেন।
এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লিয়নপো ডা. টান্ডি দর্জি, ভুটানের অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী লোকনাথ শর্মা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে যোগ দেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভিশন সফলভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
এজন্য বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে (শেখ হাসিনা) চিরকাল স্মরণ করবে, বলেন ডা. শেরিং।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখতে পারছি বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি থেকে চমৎকারভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক এ চুক্তিটি এমন সময় করা হচ্ছে যখন বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছে এবং পরের বছরই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হবে। এই ইতিহাসের অংশ হতে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে সাত বছর এবং ঢাকায় তিন বছর কটানোর সময়ে বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় বাড়িতে পরিণত হয়েছিল বলে জানান তিনি।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি (হাসিনা), আপনার পরিবার এবং আরও অনেকে দেশের জন্য যে অবদান এবং ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার কথা আমরা সবাই জানি।’
লোটে শেরিং বলেন, ‘আজ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটা দিন এবং সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলতে পেরে আমি আনন্দিত।’
‘আমার প্রতি আপনার মাতৃস্নেহ এবং আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
ভুটানের প্রতি সবসময় সমর্থন দিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং এ সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
স্বাক্ষরিত পিটিএর বাকি আনুষ্ঠানিকতা শিগগিরই সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সহায়তা করবে।’