নিজস্ব প্রতিবেদক : নদীতে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচি পালন করেছে নদী-নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’, নদী রক্ষা জোট, নিরাপদ পানি আন্দোলন ও ‘রিভার জাস্টিজ। শনিবার রামপুরা এলাকায় বয়ে যাওয়া ‘নড়াই’ নদীতে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা নদী আর খাল দখলের প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে সংগঠনগুলো এ আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘রাজধানীর জীবনযাত্রায় অল্প বৃষ্টিতেই সড়ক গুলো রূপ নেয় জলাশয়ে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা থাকছে দিনের পর দিন। ঢাকার আশপাশের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে সামান্য বন্যায়। কেবল নদী আর খালই নয়, বিলীন হয়েছে রাজধানীতে থাকা অসংখ্য পুকুরও। এই নদীটিও দখল আর দূষণের শিকার।’
নড়াই নদীর বর্তমান উন্মুক্ত অংশের দৈর্ঘ্য ছয় দশমিক পাঁচ কিলোমিটার। রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রী-মেরাদিয়ায় বাঁক নিয়ে এটি সোজা পূর্বদিকে অগ্রসর হয়েছে। মিশেছে কায়েতপাড়ায় গিয়ে বালু নদীর সঙ্গে। এর অধুনালুপ্ত ধারাটি পশ্চিমে পান্থপথ হয়ে মিরপুর পেরিয়ে তুরাগে পতিত হতো। প্রবাহটিকে সরকারি কাগজপত্রে কোথাও বেগুনবাড়ি খাল, কোথাও হাতিরঝিল, কোথাও আবার রামপুরা খাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাগজের নৌকা ভাসানো কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, নদী রক্ষা জোটের মুখপাত্র ও নোঙর-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন শামস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. তোফাজ্জ্ল হোসেন (সাবেক কাউন্সিলর), মোহাম্মদ মাকসুদ হোসেন মুহসীন (৩-নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ঢাকা দক্ষিণ সিটিকপোরেশন), আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম (কাউন্সিলর, ৩৭ নং ওয়ার্ড, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন), বীর মোক্তিযোদ্ধা ও নদী বিশেষজ্ঞ মো. তোফায়েল আহমেদ, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস, নিরাপদ পানি আন্দোলনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, নোঙর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফজলে রাব্বি সানি, মীর মোকেদ্দস আলী শান্ত, এফ এইচ সবুজ, ইয়াছিন আরাফাত, শুভ ঘোষ, বাপ্পী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।