1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে হওয়া মামলা আইন মেনে প্রত্যাহারের নির্দেশ জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয় : তারেক রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ সংস্কার কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত, গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আইসিসির আবারও এমপি-মন্ত্রী হবো, হুংকারের পরেই জুতা নিক্ষেপ

‘অসামান্য অর্জনে’ শেখ হাসিনার প্রশংসায় কমনওয়েলথ মহাসচিব

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বাংলাদেশের বিগত এক দশকের ‘অসামান্য অর্জনের’ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে এই উন্নয়নের জন্য তাঁকে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের এই অসামান্য অর্জনের পুরো কৃতিত্বই তাঁর একার।’

গত সপ্তাহে লন্ডনে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশন ও কমনওয়েথ সচিবালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভার পর বাসসকে দেয়া এক এক্সক্লুসিভ ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে কমনওয়েলথ মহাসচিব এ কথা বলেন।

প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাঁর সরকার যে অসামান্য অর্জন লাভ করেছে তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব এককভাবে তাঁর।’

কমনওয়েলথের শীর্ষ এই কর্মকর্তা আরো বলেন, মিয়ানমারে নিপিড়ন থেকে বাঁচতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা তাদের জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর বোঝা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী চলমান ভয়াবহ মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে প্রবৃদ্ধি অজর্ন নিশ্চিত করেছে, তা থেকে বর্তমান বিশ্বের অনেক নেতারই শিক্ষনীয় রয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব থেকে।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব থেকে আমরা এই নির্দেশনাই পাই যে, মানবতার বিনিময়ে উন্নয়ন অর্থহীন আর এই ধরণের দিকনির্দেশনাই প্রকৃত নেতৃত্বের মূল চাবিকাঠি হওয়া উচিৎ।’ কমনওয়েলথের ষষ্ঠ মহাসচিব স্কটল্যান্ড আরো বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের বহু নেতা শেখ হাসিনার এই দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।’

এই ভার্চুয়াল আলোচনায় বিভিন্ন ইস্যুর মধ্যে কমনওয়েলথের সদস্যদের সাথে সংস্থাটির গভীরতম সম্পর্ক, বিশেষত কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা নিয়েও আলোচনা হয়।

কমনওয়েলথ ৫৪টি স্বাধীন দেশের সমন্বয়ে একটি ভলেন্টারি সংস্থা। এদের সকলেই এক সময় ব্রিটিশ সামাজ্যভুক্ত ছিল। কমনওয়েথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিভাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ উভয়ই রয়েছে। সদস্য দেশগুলোতে ২.৪ বিলিয়ন লোকের বাস। কমনওয়েলথের সদস্যরা সমৃদ্ধি, গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরস্পরকে সহযোগিতা করে থাকে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় এর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করতে গিয়ে কমনওয়েলথের এই শীর্ষ নির্বাহী রোহিঙ্গা সংকট, সকলের মাঝে সমানভাবে কোভিড-১৯ সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ভয়াবহ মহামারীর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাবে পড়েছে, তা থেকে উত্তরণের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা মহামারীর মধ্যেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কমনওয়েলথ সচিবালয়ের প্রধান কমনওয়েলথ মহাসচিব। এটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান। কমনওয়েথ সচিবালয় ১৯৬৫ সালে কমনওয়েলথ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
স্কটল্যান্ড বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা, কার্যক্রম ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে।
তিনি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ‘আমি এই সাফল্য অর্জনের জন্য শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে কৃতিত্ব দিচ্ছি।’

কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে অর্থনীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সফলভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উন্নীত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র গত দশকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১৮৮ শতাংশ বেড়েছে। গড়ে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল বছরে ৬ থেকে ৭ শতাংশ। দেশটির তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত শতভাগ আইসিটি পৌঁছে দেয়াই এই অর্থনৈতিক অর্জনের অন্যতম প্রধান কারণ।

কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা ও তাঁর নেতৃত্বের উপযুক্ত উত্তরসূরী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের সাফল্যের বীজ শেখ হাসিনা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তিনি একটি স্বাধীন ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন।’

স্কটল্যান্ড বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু ধ্বংসস্তুপ থেকে একটি নতুন জাতি গঠনে অনেক কঠিন পরিস্থিতি ও বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে বিবিসি আয়োজিত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জরিপে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সর্বাধিক ভোট পড়াটা কোন আকস্মিক দুর্ঘটনা নয়।’ কমনওয়েথের এই শীর্ষ নির্বাহী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর আমলেই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কমনওয়েলথভুক্ত হয়।

ডোমিনিকান নাগরিক স্কটল্যান্ড ক্যারিবিয়ান দ্বীপটির পক্ষ থেকে দ্বিতীয় মহাসচিব ও এই পদে প্রথম নারী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি