চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী ১৬৪২ রোহিঙ্গাকে নিয়ে সাতটি জাহাজ রওয়ানা দিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন আজ শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এসব জাহাজে তাদের তুলে দেয়। এর আগে ভাসনচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের মালপত্রও জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল ছয়টার দিকে দুটো জাহাজে মোট এক হাজার ১৯টি লাগেজ পাঠানো হয়। এরপর ১০টার দিকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজগুলো রওয়ানা হয়।
রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজের ছয়টি নৌবাহিনীর, একটি সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনীর জাহাজটির নাম ‘শক্তি সঞ্চার’। আরও ১৯টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে স্কট জাহাজও রয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে ‘চল চল ভাসানচর চল’ লেখা ব্যানার লাগিয়ে রোহিঙ্গা- বহরের ৩৮টি বাস চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করে। যেসব রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নিয়ে যাচ্ছে এতোকাল ধরে তারা অবস্থান করছিলেন কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে।
সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটা পর্যন্ত রোহিঙ্গারা টেকনাফের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে বসবাসের জন্য নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে তৈরি করা হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন আবাসন ব্যবস্থা। শহরের অধিকাংশ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে।