রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩২তম বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আজ অর্থনৈতিক কমিটিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন কেনার অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব ছিল। প্রস্তাবটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয়ে পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬ (২)-এ উল্লিখিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে কেনার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
টেন্ডার ছাড়া কেন ভ্যাকসিন কেনা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশ করেছে। আর টাকা-পয়সার বিষয়ে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে যখন আসবে তখন আলোচনা হবে। তবে অ্যাট এ টাইম কিনতে ৫ কোটি টাকার বেশি হলে ক্রয় কমিটিতে আসে। আর এককালীন কিনতে গেলে এর দাম ৫ কোটি টাকার বেশি হবে। এ জন্য ক্রয় কমিটিতে প্রস্তাব আনতে হবে।’
৫ কোটি টাকার বেশি হবে দেখেই কি পিপিআর অব্যাহতি নেয়ার জন্য প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল, এমন প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, ‘পিপিআর অব্যাহতি নিতে আসেনি। পিপিআরের মধ্যেই সকল নিয়ম অনুসরণ করে পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬ (২)-এ উল্লিখিত মূল্যসীমার ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হলেই এই কমিটি বিবেচনা করবে। পিপিআরের সেই ধারাটা ফলো করার জন্যই এই কমিটিতে আনা হয়েছে।’