নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এখনো বাজারে না আসায় এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাস্কই একমাত্র ভরসা। তবে আমাদের অনেকের মধ্যেই মাস্ক ব্যবহারে অনীহা। এ অবস্থায় মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে সাধারণ মানুষেরা মাস্ক ঘরে রেখে বাইরে এসে নানা অজুহাত শোনাচ্ছেন প্রশাসনকে। কিছু মানুষ মাস্ক পরলেও সেটা তারা থুতনিতে রেখে দিচ্ছেন। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বলছেন, সচেতনভাবে বিষয়টি অবহেলা করার জন্য এই ধরনের মানুষদের দ্বিগুণ জরিমানা করা হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত র্যাব-১০ এর তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে ৩০ জন ব্যক্তিকে মাস্ক না পরার জন্য ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছেন এই আদালত। এছাড়া অভিযানে ৬০০-৭০০ মাস্ক পথচারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
অভিযান চলাকালীন পলাশ বসু সাংবাদিকদের বলেন, আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে মাস্ক ব্যবহার করা বেড়েছে বলা যায়। এখন অনেকেই সচেতন হয়েছেন। আমরা এই সচেতনতা ওপরে আরও জোর দিচ্ছি। তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে যদি তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা না যায়, সেক্ষেত্রে জরিমানা বাড়িয়ে অভিযান আরও কঠোর করা হবে।
র্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, নানা অজুহাত দিয়ে কিছু মানুষ মাস্ক ছাড়াই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। আবার এক শ্রেণির মানুষকে পাবেন যারা মাস্ক পরলেও সেটি থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছে। এমনও কিছু মানুষদের জরিমানা করা হচ্ছে। তবে স্বাভাবিক জরিমানার চেয়ে এদের জরিমানা ডাবল করা হচ্ছে।
ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, এখানে জরিমানা করাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য না। আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চাই। যেন তাদের মাধ্যমে অন্য কারও মধ্যে এই ভয়াবহ ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে। তারাও যেন নিরাপদ থাকতে পারেন।
এই অভিযানে নানা শ্রেণিপেশার ৩০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের মুখোমুখি হয়ে তারা নানা অজুহাত দিচ্ছেন।
ব্যাংকে কাজের জন্য বাসা থেকে বের হওয়া মোহাম্মদ ফারুক ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান, ‘ব্যাংকে তো সবাই মাস্ক পরে থাকেন। আমার আবার পরার দরকার কী। তাই না পরেই বের হয়েছি।’ ফারুককে ৩০০ টাকা জরিমানা করেছেন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রসঙ্গ, করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে বাসার বাইরে সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সেই নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিদিন রাজধানীতে র্যাবের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছে।