1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে হওয়া মামলা আইন মেনে প্রত্যাহারের নির্দেশ জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয় : তারেক রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ সংস্কার কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত, গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আইসিসির আবারও এমপি-মন্ত্রী হবো, হুংকারের পরেই জুতা নিক্ষেপ

প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন ১ জনের বেশি নারী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০

প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন ১ জনের বেশি নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে একজনেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নব্বই শতাংশেরও বেশি আসামিকে ঘটনার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংরক্ষিত তথ্যমতে, ২০২০ সালের প্রথম ৮ মাসে মহানগরীর ৫০টি থানায় ৩১৪ নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে মামলা করেছেন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে ৪২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫, মার্চে ৪৬, এপ্রিলে ১২, মে মাসে ১৫, জুনে ৪৯, জুলাইয়ে ৫২ এবং আগস্টে ৫৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। একই সময় ২০১৯ সালে ঢাকা মহানগরীতে ৩৫৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। গত বছরের চেয়ে এই সংখ্যা কম হলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
এ বছরের প্রথম ৮ মাসের ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন রাতে। পুলিশ এসব ঘটনায় জড়িত বেশিরভাগ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর কদমতলীর একটি বাসায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই কিশোরী। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের এক কিশোরীর বাবা নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তাদের বাবা কাজে বের হন। এ সময় ওই কিশোরী ও তার বান্ধবীকে হাত-পা বেঁধে তিন বখাটে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছে। আদালতে তাদের বিচার চলছে।
এ বছরের ৫ জানুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী রাজধানীর শাওড়া এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মজনু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। যার বিচার শুরু হয়েছে আদালতে।
মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঢাকা দেশের রাজধানী শহর হলেও এখানে নারীদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। রাজধানীতে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা বেশি, তাদের এই শহরেই থাকতে হয়। রাতে বের হতে হয়। তাদের জন্য একটি নিরাপদ শহর তৈরি করা সম্ভব হয়নি এখনও। পুলিশ অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নারীর নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও উপেক্ষিত।’
তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে এমন নিরাপত্তা বলায় তৈরি করতে হবে, যেন নিরাপত্তার ফাঁক দিয়ে আর কোনও ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে।’
এ বিষয়ে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কেবল পুলিশি নিরাপত্তায় এই সমস্যার সমাধান হবে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে সমাধান খুঁজতে হবে। পুলিশ ঘটনার পরপরই অপরাধীকে গ্রেফতার করে।’
রাজধানীর পাশাপাশি করোনা মহামারির এই সময়ে সারাদেশের ধর্ষণের চিত্র আরও ভয়াবহ। পুলিশ সদর দফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে সারাদেশে ৫ হাজার ৪০০ নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ২০১৮ সালে ধর্ষণের মামলা ছিল ৩ হাজার ৯০০টি। পুলিশের হিসাব বলছে, গতবছর ধর্ষণের কারণে ২৬ জন নারী মারা যান। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি