নিজেদের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের ট্রায়ালের (পরীক্ষা) চূড়ান্ত ফলাফল আসার পর ভ্যাকসিনটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না জানিয়েছে, জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেছে তারা।
মডার্নার দাবি, করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে তাদের ভ্যাকসিন ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ ও কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যাওয়া থেকে শতভাগ সুরক্ষা দিতে পারবে ।
এ বিষয়ে এফডিএর ভ্যাকসিন সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. পল অফিট বলেন, ‘এটা দারুণ। এই তথ্যগুলো সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক।’
ফাইজারের আবেদন নিয়ে ১০ ডিসেম্বর ও মডার্নার আবেদন নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর কমিটি সভায় বসবে বলে তিনি জানান।
এর আগে আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন চেয়ে এফডিএর কাছে আবেদন করে। গত ২০ নভেম্বর করা ফাইজারের ওই আবেদনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া তথ্যেও সংশ্লিষ্ট ভ্যাকসিনের উচ্চ কার্যক্ষমতার কথা উল্লেখ করা হয়।
মডার্নার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানায়, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার পর মডার্না তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের উচ্চ কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। গত জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ পর্যায়ে মোট ৩০ হাজার লোকের মধ্যে পরীক্ষা চালানো হয়। এর মধ্যে যে ১৫ হাজার লোককে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে মাত্র ১১ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা গেছে। আরও দেখা গেছে, ভ্যাকসিন পাওয়া সত্ত্বেও কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দেওয়া ব্যক্তিদের কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি।
সিএনএন জানায়, দুটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিনেরই মূল ভিত্তি এমআরএনএ। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি ডোজ দিতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে জ্বর, শরীর ব্যথাসহ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
এফডিএর পরামর্শক কমিটির সদস্য ও পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ ড. পল অফিট বলেন, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণের পরও কিছু লোক কেন কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন, তা দেখতে হবে।’
মডার্না ও ফাইজার তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের অনুমোদন পেলে বিষয়টি যাবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কাছে। তারা এর বিতরণ প্রক্রিয়াসহ কারা কোন ধাপে পাবে, তা নির্ধারণ করে দেবে।