যুক্তরাষ্ট্রে আগামী কয়েক সপ্তাহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেশটির অন্যতম সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি।
‘থ্যাংকসগিভিং’ ছুটি শেষে লাখ লাখ ভ্রমণকারী ঘরে ফেরার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে সামনের দিনগুলোতে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ার করেন ফসি। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রবাসীদের করোনার আরো তীব্র সংক্রমণ মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ফাউচি।
অ্যান্থনি ফসি গতকাল রবিবার করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করতে যারা এখনো ভ্রমণে যায়নি, তাদের সময় থাকতে মাস্ক পরতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।
ফাউচি গতকাল রবিবার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আগামী দু-তিন সপ্তাহে আমরা সম্ভবত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে দেখব।’
বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটিই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
তবে আশার কথা হলো, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান তাদের বেলজিয়ামের ল্যাব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ফাইজার প্রথম তাদের টিকার কার্যকারিতার ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি আরেক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মর্ডানাও তাদের টিকার উচ্চ কার্যকারিতার কথা জানায়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারে ফাইজারের আবেদন অনুমোদনের বিষয়ে জানা যাবে। অনুমোদন পেলেই যুক্তরাষ্ট্রে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।