পুলিশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বিল পাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ফ্রান্স। রাজধানী প্যারিস, বোরডে, লিল, মোন্তপেলিয়ে, নন্তেসসহ দেশটির বহু শহরে গতকাল শনিবার বিক্ষোভ হয়। এ সময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। দিনভর বিক্ষোভ সংঘর্ষে ৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু প্যারিসেই ৪৬ হাজার মানুষ শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেয়।
গত সপ্তাহে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের ছবি ও ভিডিও ধারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের নিরাপত্তা বিল পাস করে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ। বিলটি আইনে পরিণত হতে এখন সিনেটে পাস হওয়ার অপেক্ষা। আইনটি কার্যকর হলে কোনো দায়িত্বরত পুলিশের ছবি প্রকাশ করলে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ৪৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
সম্প্রতি কৃষ্ণাঙ্গ সংঘীত প্রযোজক মাইকেল জেকলারকে তার প্যারিসের স্টুডিওতে ঢুকে তিন পুলিশ সদস্য ব্যাপক মারধর করেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সংগীত প্রযোজকে মারধরের এ ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য এবং লজ্জাজনক বলে আখ্যা দেন। দ্রুত পুলিশ ও নাগরিকদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সংবিধানের ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদে সংশোধনী আনা পুলিশের নিরাপত্তা বিল সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে আঘাত হানবে এবং পুলিশের নৃশংসতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে সরকার বলছে, বিলটির মাধ্যমে অনলাইনে পুলিশকে উত্ত্যক্তের ঘটনা কমবে।