মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে তরুণদের ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, করোনাকালে কয়েক লাখ মানুষ বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছে, যারা এখন বেকার। দেশের ভেতরে অনেকে বেকার হয়ে গেছে। এ সময় গার্মেন্টস খাত ও প্রবাসী আয় বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি দেশকে দরিদ্র করতে চেয়েছে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার চেয়েছিল দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার দরকার নেই। তাহলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না। আমরা দরিদ্র থাকব, ভিক্ষুক থাকব।’
আজ শুক্রবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম শাকিলুজ্জামান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন খাদ্য বলতে শুধু ধান, চাল, ভুট্টা, গমকেই বোঝায় না, খাদ্যের একটি বড় অংশ হচ্ছে মাছ, মাংস, শাকসবজি। তিনি আরো বলেছিলেন, ভিক্ষুকের জাতির কোনো মর্যাদা থাকে না। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য নিয়ে শেখ হাসিনা গোটা জাতিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বিশ্বের সেরা ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছি। প্রায় সাত হাজার ২০০ কোটি টাকার মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্য ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে। উদ্যোক্তা, খামারি ও উপকারভোগীদের জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষ করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের চেয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে।