মুন্সিগঞ্জের জাজিরা প্রান্তে আজ বসছে পদ্মা সেতুর ৩৯তম স্প্যান। স্প্যানটি মাঝনদীতে বসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার অংশ।
প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, স্প্যান বসানোর সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে সেরে ফেলা হয়েছে। বাকি দুটি স্প্যান বসানো হবে ডিসেম্বরে। জাজিরা প্রান্তে টানা বসানো আছে ২৯টি স্প্যান। পুরো সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকিগুলো ধারাবাহিকভাবে মাঝনদীতে বসানো হবে।
জটিলতা কেটে যাওয়ার পর গতি পেয়েছে মাওয়া প্রান্তের কাজও। সব শেষ ৭টি স্প্যানই বসানো হয়েছে এখানে। সব মিলে এখন মাওয়া প্রান্তেও পাড় থেকে শুরু করে দৃশ্যমান আছে ৯টি স্প্যান।
চলতি মাসে এরইমধ্যে বসানো হয়েছে ৩টি স্প্যান। ৩৯তম এ স্প্যানটি হতে যাচ্ছে মাসের ৪ নম্বর স্প্যান।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩৭টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ৫৫০ মিটার। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন কোঃ লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালে খুলে দেয়া হবে।