বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করবে।
আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক সভাকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, ভারতীয় হাই কমিশন ও আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তাঁরা দুই দেশের পারষ্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে মানব সম্পদ উন্নয়ন, আইটি শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ভারত সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চলমান অগ্রগতি, আইসিটি খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, স্টার্টআপ তৈরির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহযোগিতা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ভারতীয় হাই-কমিশনার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের টেকসই উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বলেন আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্বি আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ সকল খাতের অগ্রগতি দৃশ্যমান। আগামী দিনগুলোতে আরো এগিয়ে যাবে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে আইসিটি খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন। নরেন্দ্র মোদীর সরকার দায়িত্ব লাভের পর বিভিন্ন অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো প্রসারিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন বর্তমানে দুই দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশ-ভারত আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে।
পলক বলেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কার্যক্রম। বিগত ১১ বছরে বর্তমান সরকার কর্তৃক অবকাঠামো তৈরি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থাসহ বিচারিক কার্যক্রম সচল রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বর্তমানে রাজধানীর সাথে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সকল এলাকার মধ্যে ডিজিটালি কোন দূরত্ব নেই।
এছাড়া, এর আগে আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গ্লোবাল স্টার্টআপ ইমিগ্রেশন কোরিয়া প্রোডাকটিভিটি সেন্টারের মধ্যে “আইডিয়াথন” বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।
এসময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল করিম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হ্যাকাথনে বিজয়ী উদ্যোক্তারা দক্ষিণ কোরিয়াতে মেন্টরিং, কোচিং, ইনকিউবেশনসহ ৬ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবে।