শেষবার ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার’ পরিচালনা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। আবারও ক্যামেরা পেছনে ফিরছেন তিনি। এবারও সত্য কাহিনি নিয়ে নির্মিত হবে ছবি। এ সিনেমার সঙ্গে সামান্য হলেও বাংলাদেশের যোগাযোগ রয়েছে।
ব্রিটিশ ওয়ার ফটোগ্রাফার ডন ম্যাককালিনকে নিয়ে জোলি নির্মাণ করছেন ‘আনরিজেনবল বিহেভিয়ার’। আর প্রযোজক হিসেবে থাকছেন নামি অভিনেতা টম হার্ডি।
১৯৯২ সালে প্রকাশ হওয়া ম্যাককালিনের আত্মজীবনী অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘আনরিজেনবল বিহেভিয়ার’। ২০১৭ সালে প্রকাশ হয় বইটি হালনাগাদ সংস্করণ।
বিস্তৃত পরিসরে নিজের কাজের স্মৃতি তুলে ধরেছেন ম্যাককালিন। যেখানে বার্লিন দেয়ালের পতন থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এই চিত্রশিকারির অভিযান ওঠে এসেছে। বলা হয়, প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে ঘটা সব বড় ঘটনার সাক্ষী ম্যাককালিন। সেখানে আরও আছে নর্থ লন্ডনের গ্যাং সংস্কৃতি থেকে কঙ্গো, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ অনেক অঞ্চলের লড়াই ও মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কলোরার প্রাদুর্ভাব নিয়ে ছবি তোলেন তিনি। এ ছাড়া সাব-সাহারিয়ান অঞ্চলে এইডস বিপর্যস্ত মানুষ বন্দী হয়েছেন ম্যাককালিনের ক্যামেরায়।
নিজের নির্মিত বেশির ছবিতেই যুদ্ধের সত্য ঘটনা তুলে ধরেছেন জোলি। ‘ইন দ্য ল্যান্ড অব ব্ল্যাড অ্যান্ড হানি’তে কাল্পনিক প্রেম তুলে ধরলেও এর প্রেক্ষাপট বসনিয়ার যুদ্ধ। ‘আনব্রোকেন’-এর গল্প যুদ্ধবন্দি অলিম্পিক-জয়ী খেলোয়াড় লুইস জাম্পেরিনিকে নিয়ে। সর্বশেষ ‘ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার’ তুলে ধরেছে কম্বোডিয়ায় খেমার রুজদের হাতে নির্যাতিত মানবাধিকারকর্মী লং উং-এর জীবন।
‘আনরিজেনবল বিহেভিয়ার’ নিয়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জানান, ডন ম্যাককালিনের জীবনে নির্ভীকতা ও মানবিকতার অনন্য সমন্বয় দেখতে পেয়েছেন। যিনি যুদ্ধের সত্য তুলে ধরতে চেয়েছেন সব সময়। ডনের আপসহীন কাজের মতেই ছবিটি তৈরি করতে চান। আর এই সুযোগ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ।
অন্যদিকে যুদ্ধ নিয়ে তৈরি জোলির সিনেমার প্রশংসা করেন ডন ম্যাককালিন। তিনিও ‘আনরিজেনবল বিহেভিয়ার’ নিয়ে খুশি।