চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ৩৩ জন শিল্পী-কুশলী। বিভাগ ২৮টি হলেও কয়েকটিতে থাকছে যৌথ নাম। তবে তালিকা এখনও চূড়ান্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা। শেষ দিকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়তে বা কমে পারে।
ইতোমধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় পুরস্কার প্রদান সামগ্রীর জন্য টেন্ডার দিয়েছে। এতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ৩৩ জনের জন্য মনোগ্রামসহ ৩৩টি পাটের ব্যাগ, চেক ফোল্ডার ও সার্টিফিকেট ফোল্ডার তৈরি করার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত উপসচিব শাহানারা বেগম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতেও এ তথ্য পাওয়া যায়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক নিজামুল কবীর বলেন, ‘মাস খানেক আগে জুরি বোর্ডের তৈরি তালিকাটি মন্ত্রণালয়ে গেছে। এরপর কয়েকটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এরমধ্যে আছে কেবিনেট আলোচনা ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর। প্রধানমন্ত্রী সেটি অনুমোদন দিলেই চূড়ান্ত হবে এই তালিকা।’
তিনি আরও জানান, ২৮টি শাখায় পুরস্কার দেওয়া হলেও সমান নম্বরপ্রাপ্তরা যৌথ পুরস্কার পান। সেক্ষেত্রে পুরস্কার সংখ্যা বেড়ে যায়। সে হিসেবে ধরতে গেলে ৩৩টি পুরস্কার হতে পারে এবার। তবে এটি এখনই চূড়ান্ত করে বলা সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৯ সালে চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য শিল্পী ও কলাকুশলীদের পুরস্কৃত করা হবে। বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল। তবে করোনার কারণে এবার ভিন্ন কিছু ঘটতে পারে বলে জানা গেছে।