বরগুনা প্রতিনিধি :
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারাধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ সকালে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গাজীপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া অপর পাঁচ আসামির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা এখনও বরগুনা কারাগারে রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে তাদের বিষয় সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর ও মা’ জিনাত জাহান মনি সর্বশেষ ২২ অক্টোবর মোবাইলে মিন্নির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানান, তাদের পরিবারের কেউই মিন্নিকে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতেন না। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কারাগারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সকাল সাতটার দিকে মাইক্রোবাসে বরগুনা কারাগার থেকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্নিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এর আগে, ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা হয় ২৭ অক্টোবর । বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান এই রায় দেন। এতে ছয় জনকে ১০ বছর, চার জনকে ৫ বছর, একজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় শিশু আদালত।