নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে হাজার কোটি টাকা খরচ করে নদী খনন হলেও সেই সব কাজ দৃশ্যমান নয় বলে সংসদীয় কমিটি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এটিকে ‘শুভংকরের ফাঁকি’ উল্লেখ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে আগামী একমাসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে সংসদীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ।
তিনি বলেন, নদী ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে স্বচ্ছ্বতা নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানকে বলেছে সংসদীয় কমিটি। নদী খনন করে বালু নদীতেই রাখা হয়। এটা একটা শুভংকরের ফাঁকি। সংসদীয় কমিটি বলেছে, নদী খননের পর সরকারি জমি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি লিজ নিয়ে বালু রাখা হোক। হাজার হাজার কোটি টাকার নদী খনন হয়, কিন্তু এসবের কিছুই দৃশ্যমান নয়। এখন আরিচা, গোয়ালন্দ ও মাওয়া ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ তারা বলেছে ড্রেজিং করেছে। এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে বলেছে কমিটি। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কী করছে, সে বিষয়ে আগামী একমাসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে সংসদীয় কমিটি।
আ স ম ফিরোজ বলেন, নদী দখল ও খনন কাজে মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট দফতরের মধ্যে সমন্বয় করতে বলেছে কমিটি। আর নদী দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা তাড়াতাড়ি ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নৌপথকে সচল রাখতে ড্রেজিং করা পলিমাটি/বালি পুনরায় নদীতে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার সুপারিশ করে। এছাড়া নদী ভাঙনরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ভাঙনরোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে নৌপথে যাত্রীদের ভোগান্তি দূরীকরণে নৌ টার্মিনালে প্রবেশে টিকিটের অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ করা হয়। কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম এবং মুহিবুর রহমান মানিক বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানসহ মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।