লাইফস্টাইল ডেস্ক :
দীর্ঘদিন ধরেই গৃহবন্দি শিশুরা। স্কুলে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে খেলা- এগুলো বন্ধ। বাবা-মায়ের নজরদারিতে কাটছে দিনরাত। এছাড়া অনলাইন ক্লাস ও টাস্কের চাপ তো রয়েছেই। একটু নিজের মতো করে সময় কাটানোর কোনও সুযোগ নেই। সন্তানের মানসিক দিকটার ব্যাপারেও কিন্তু ভাবতে হবে আপনাকেই।
আপনি দুশ্চিন্তায় আছেন আর সন্তান দিব্যি ফুরফুরে আছে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। সেও নানান উদ্বেগে আছে। কবে স্কুল খুলবে, কবে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হবে, কবে বন্দিদশা ঘুচবে ইত্যাদি। কাজেই ঘরে যেন সে আনন্দ পায় অথচ বেশি দুষ্টুমিও না করে সে দিকে খেয়াল রাখুন। সবসময় শাসন করবেন না, খানিকটা স্পেস দিন সন্তানকেও।
সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করে মোটামুটি একটা রুটিন ঠিক করে নিন। সে কতক্ষণ পড়বে, কতক্ষণ টিভি দেখবে, গেম খেলবে আর কতক্ষণই বা আপনার কাজে সাহায্য করবে। একইভাবে, ঘুমতে যাওয়া, সকালে ওঠা, হালকা ব্যায়াম ও কোনও শখের চর্চা কখন কতক্ষণ ধরে করবে, তা ঠিক করে নিন। রুটিনের একটা কপি তার কাছে থাক, একটা আপনি রাখুন। খেয়াল রাখুন, সে রুটিন কতটা মানছে। অনিয়ম করলে দিনের শেষে মনে করান। এতে অশান্তি কমবে, সে নিজের দায়িত্ব নিতে শিখবে। শিখবে নিয়মানুবর্তিতা। সব সময় শাসন করতে থাকলে যা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
রুটিন মানতে ঢিলেমি করলে ধৈর্য ধরুন। সব সময় বকাঝকা না করে দিনের শেষে একবার মনে করিয়ে দিন। একটা সময় নিয়মে চলে আসবে সে।
যে দিন নিয়ম মানবে বা অনিয়ম কম করবে, সেদিন ওর পছন্দের কোনও খাবার বানিয়ে খাওয়াতে পারেন বা পছন্দের কোনও গেমের সুযোগ দিতে পারেন। এটা যে তার নিয়ম মানার পুরস্কার, তা ভালো করে বুঝিয়ে দেবেন। অর্থাৎ সে যেন বোঝে, নিয়ম মানলে পুরস্কার ও না মানলে তিরস্কার পাওয়াটাই নিয়ম।
তার কোনও বিশেষ দাবি-দাওয়া থাকলে, আগেই তা নস্যাৎ করে না দিয়ে মন দিয়ে শুনুন সে কী বলতে চায়। ভেবে দেখুন, তাতে কোনও ক্ষতি হবে কি না। না হলে ১০টার মধ্যে ৫-৭টা অন্তত মেনে নিন। তাহলে যেগুলো মানলেন না, তা নিয়ে আর তার অভিযোগ থাকবে না।
অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে লাভ তো হয়ই না, বরং সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।