নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় হওয়া মামলায় হাজী সেলিমের মালিকানাধীন মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপুকে (৪৫) তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এই আদেশ দেন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর ভোরে ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন- সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম (৩৭), তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ (৩০) এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
গাড়িচালক মিজানকে রোববার রাতে গ্রেফতারের পর সোমবার একদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
এজাহারভুক্ত অপর আসামি দিপুকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফান সেলিমের গাড়ি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা মারার পর ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।