আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ৭৮ তুর্কি-সমর্থিত বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে দামেস্কোর মিত্র রাশিয়া। প্রায় আট মাস আগে অস্ত্রবিরতির পর দেশটিতে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা বাড়ছেই।
সোমবারের ওই হামলায় ৯০ জন আহত হয়েছেন। ইদলিব প্রদেশের জাবাল দুয়াইলি এলাকায় ফিলাক আল-শাম গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
মার্চের শুরুতে মস্কো ও আঙ্কারার মধ্যস্থতায় হওয়া অস্ত্রবিরতির কারণে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ বড় ঘাঁটি ইদলিবে হামলা থেকে বিরত ছিল রুশ সমর্থিত সরকারি বাহিনী।
গত ডিসেম্বরে হামলায় পাঁচ শতাধিকের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত ও লাখ লাখ লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এতে ৯ বছর ধরে চলা এই গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট দেখা দেয়।
অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। তুরস্কের সীমান্তে এ হামলা সংঘটিত হয়েছে।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় মস্কোর সামরিক হস্তক্ষেপের পর রাশিয়ার একদিনে সর্বোচ্চ রক্তক্ষয়ী হামলা ছিল এটি।
ইদলিবভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট জানিয়েছে, সোমবার রাশিয়ার বিমান তাদের কয়েকটি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। যাতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
তাদের সেনাদের একটি বড় সংখ্যা নিহত হয়েছেন। কাজেই তারা প্রতিশোধ নিতে দ্বিধা করবে না বলেও জানিয়েছে।