লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আমাদের দেশে রেস্তোরাঁতে খাবার শেষে বিলের সঙ্গে মৌরি দেয়া হয়। এটি দেয়ার একটি কারণ রয়েছে। জেনে নিন যে কারণে রেস্তোরাঁয় খাবারের পরে বিলের সাথে মৌরি দেয়া হয়।
বাড়িতে কোনো অতিথি এলে খাওয়ার শেষে তার হাতে মৌরি তুলে দেয়ার রীতি রয়েছে। পছন্দের রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে, খাওয়ার শেষে যখন বিল আসে তখন তার সঙ্গে সুন্দর একটি প্লেটে মৌরি। মৌরি খাওয়ার পর মন কিন্তু বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়।
আর্য়ুবেদীয় শাস্ত্রে মৌরির বেশ কিছু উপকারিতা বর্ণনা করা রয়েছে। বেশ কিছু ওষুধ তৈরি করতেও ব্যবহার করা হয় মৌরি। এছাড়াও মৌরি চিবিয়ে খাওয়ারও বেশ কিছু সুফল রয়েছে। মৌরি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে। খুব সহজেই মুখের যে কোনো গন্ধ দূর করে দেয়। এছাড়াও অন্য কোনো রকম খাবার থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমায়।
খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে মৌরি। এছাড়াও দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। মৌরির মধ্যে থাকে খাদ্য হজমকারী বেশ কিছু ফাইবার। মৌরি চিবোলে যে লালা নির্গত হয় তা যে কোনো খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে।
অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে। আর রেস্তোরাঁতে গেলে ঝাল-মশলা দেয়া খাবারই বেশি। তাতে যেমন হজমের সমস্যা বাড়ে তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আসে। এসব সমস্যা এড়াতেই শেষ পাতে মৌরি দেয়ার প্রচলন ছিল। শুধু রেস্তোরাঁ নয়, আগেকার দিনে যে কোনো বিয়ে বাড়িতেই মৌরি দেয়া হত।
পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে মৌরি। ইসবগুলের মধ্যে অন্যতম উপাদান হিসেবে থাকে মৌরি। এমনকী ওষুধের মধ্যেও এর ব্যবহার রয়েছে। যে কারণে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখেই রেস্তোরাঁতে খাবার শেষে মৌরি পরিবেশন করা হয়।
এছাড়াও মৌরির আরও যা যা উপকারিতা রয়েছে। মৌরিতে থাকা এক প্রকার আঁশ কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। মৌরি কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে।
নিয়মিত মৌরি খেলে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার পর নিয়ম করে মৌরি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। ওজন কমাতে ও বাতের ব্যথা কমাতে ওষুধ হল মৌরি।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাফ চামচ মৌরির গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকারে আসে। যাদের অ্যাজমা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন মধু আর মৌরি চিবিয়ে খান তাহলে উপকার পাবেন।
যারা ধূমপান ছাড়তে চাইছেন তারা তাহলে সামান্য ঘি দিয়ে মৌরি ভেজে কৌটাতে ভরে রাখুন। সিগারেট খেতে ইচ্ছে করলেই এক চামচ করে মৌরি ভাজা খান। তাতে নেশা কমবেই।
এক চামচ মৌরি ভাজা, এক চামচ চিনি সারা রাত এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খেয়ে নিন। আমাশয়, গ্যাস এসবের থেকে মুক্তি পাবেন। আর শরীরও ঝরঝরে থাকবে।