নিজস্ব প্রতিবেদক :
সংসদ সদস্যদের প্রায় ৯০ হাজার টাকা দামের ল্যাপটপ দেয়া হচ্ছে। সঙ্গে পাচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার টাকা দামের একটি প্রিন্টার মেশিনও। সেই প্রিন্টার মেশিনে স্ক্যানিংও করা যাবে। ৩৫০ জন এমপিকে পর্যায়ক্রমে এসব দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে সংসদ ভবন থেকে তাদের মধ্যে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিলি শুরু হয়েছে। একমাস তাদের মধ্যে এই দুটি যন্ত্র বিলি করা হবে।
গত সংসদে ফেরত দেয়ার শর্তে এমপিদের ল্যাপটপ দেয়া হলেও পরে আর তা ফেরত নেয়া হয়নি। এগুলোও ফেরত নেয়া হবে না বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এমপিদের দাফতরিক কাজে ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপ ও প্রিন্টার দেয়া হচ্ছে। এজন্য এমপিদের কাছে চাহিদাপত্রও চাওয়া হয়েছিল। সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাহিদাপত্র চাওয়া হয়েছিল। সেই চাহিদাপত্র অনুযায়ী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সংসদের কার্যালয় থেকে বিলি করা হচ্ছে এসব।
মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ ও প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় এমপিদের এসব দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় ল্যাপটপ ও প্রিন্টার কিনলেও বিতরণ করছে সংসদের আইটি বিভাগ। এর মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, আমরা এখনো সবগুলো ল্যাপটপ ও প্রিন্টার পাইনি। তবে পর্যায়ক্রমে এগুলো পাব।
তিনি বলেন, এমপিদের জন্য এইচপি এলিট বুক কেনা হয়েছে। আর প্রিন্টার কেনা হয়েছে লেজার জেট প্রো মডেলের।
জানা যায়, বিগত দশম জাতীয় সংসদের শুরুর দিকেই এমপিদের ল্যাপটপ দেয়া হয়েছিল। তাদের তথ্য প্রযুক্তিমুখী করার জন্য এটা করছে সরকার। আর সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা ল্যাপটপ পরিচালনায় অদক্ষ, তাদেরকে আলাদা প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়। তবে ল্যাপটপগুলো ফেরত দেয়ার কথা ছিল।
দশম সংসদের সংসদ সদস্যদের ১৩১ জন এবার নির্বাচিত হতে পারেননি। তাদের যে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছিল সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় এসব আর ফেরত নেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।