কক্সবাজার প্রতিনিধি
সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়া পাঁচ শতাধিক পর্যটক আজ ফিরছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রবিবার পর্যটকবাহী জাহাজে চড়ে কক্সবাজার ফিরবেন তারা। এরপর সেখান থেকে নিজস্ব গন্তব্যে রওনা হবেন এসব পর্যটক।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সাগর হয়ে ওঠে উত্তাল। আবহাওয়া অফিস হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়ার পর বুধবার থেকে কক্সবাজার টেকনাফ সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে সব ধরনের ট্রলার ও জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এর ফলে কক্সবাজারের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপের যোগাযোগ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে বুধবার বা তার আগের দিন সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া পাঁচ শতাধিক পর্যটক সেখানে আটকা পড়েন।
কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় কক্সবাজারের উপকূলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। নাফনদী ও সমুদ্র শান্ত রয়েছে। ফলে মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আজ পরিস্থিতি ভালো থাকলে কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনে যাবে। ওই জাহাজে করে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরবেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূর আহমেদ বলেন, আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ আসার কথা রয়েছে। রবিবার বিকেলে সেন্টমার্টিন ত্যাগ করবেন তারা। এদিকে টেকনাফে আটকে পড়া দ্বীপের বাসিন্দারও ফিরতে পারবেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ফের জাহাজ চলাচল শুরু হলে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরত আনা হবে।
পর্যটকবাহী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় রবিবার পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে। ফেরার পথে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটদের নিয়ে আসা হবে।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (উপপরিদর্শক) মো. তারেক মাহামুদ বলেন, বেড়াতে এসে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। রবিবার জাহাজ চলাচল করলে পর্যটকরা দ্বীপ ত্যাগ করবেন।