নিজস্ব প্রতিবেদক
পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীর মাঝখানে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে স্পিডবোটডুবির ঘটনায় যে পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছিলেন তাদের সবার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার দুইদিন পর শনিবার আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৭ যাত্রী এবং একজন চালকসহ স্পিডবোটটি ডুবে গেলেও সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন ১৩ যাত্রী। আর নিখোঁজ ছিলেন পাঁচজন।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের কনস্টেবল মহিব্বুল্লাহ, কৃষি ব্যাংক রাঙ্গাবালীর বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, এনজিও আশার রাঙ্গাবালীর খালগোড়া শাখার ঋণ অফিসার হুমায়ুন কবির, বাউফলের কনকদিয়ার ইমরান এবং গলাচিপার আমখোলার হাসান।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭ জন যাত্রীসহ আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে আগুনমুখা নদীর মাঝখানে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে যাত্রীসহ ডুবে যায় বোটটি।
দুর্ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দুটি স্পিডবোট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পাঁচজনের কোনো খোঁজ মেলেনি। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। অবশেষে ঘটনার দুই দিন পর নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।