সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাভারের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাভার মডেল থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন এবং আত্মগোপনে চলে যান সোহেল রানা। পুলিশের নজরদারি এড়াতে তিনি জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে ‘ভারতে আছেন’ মর্মে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তিনি সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
সোহেল রানার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারে ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ আলী ওরফে আহম্মদ আলীর ছেলে সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান, ‘সোহেল রানা ছিলেন সাভারের ত্রাস। ধর্ষণের ঘটনায় তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলেও, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, সোহেল রানার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।