ফ্যাসিস্ট শক্তি ও তাদের দোসররা ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাইবে উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্যের জন্য কোনো গোষ্ঠী, দল, ব্যক্তি– এসবের স্বার্থের আগে বাংলাদেশের স্বার্থ চিন্তা করতে হবে।’
শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি পঞ্চগড় রেলস্টেশনের সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন করার পর সঙ্গে থাকা সারজিস আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি, জেলা জজ আদালতের পিপি আদম সুফি, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সচিব ফিতা কেটে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের ফলক উন্মোচন করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা যেন আমাদের কথা, মতামত বা পদক্ষেপের মাধ্যমে নতুন করে আবার ওই ফ্যাসিস্ট বা তাদের কোনো দোসরকে সুযোগ না দেই। তারা তো চাইবে আমাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাতে। এই ফাটলের সুযোগে আমরা নিজেদের সঙ্গে নিজেরা বিভাজনে লিপ্ত হব। তারা এই সুযোগটা নিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্যের জন্য কোনো গোষ্ঠী, দল, ব্যক্তি এসবের স্বার্থের আগে বাংলাদেশের স্বার্থ চিন্তা করতে হবে এবং আমরা যদি এখন সেটা চিন্তা করতে পারি, তাহলে যে বাংলাদেশ আমরা প্রত্যাশা করি অভ্যুত্থানের যে স্পিরিট, সেটা সফল হওয়া সম্ভব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস বলেন, ‘শুধু দেশে না, এই চক্রান্ত এখন দেশের বাইরে থেকে হচ্ছে। খুনি হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের যে লাখো কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে, সেগুলো দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, চক্রান্ত করছে। সরকার তার জায়গা থেকে সচেতন থাকবে রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের জায়গা থেকে সচেতন থাকা প্রয়োজন যে, আমাদের ভেতরের কোনো চিন্তা বা মতপার্থক্য এর সুযোগ বাইরের কেউ নিচ্ছে কিনা।’
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, ‘কোনো দেশে এইরকম বিপ্লব হলে সেখানে বাহিনীই থাকে না। তারা আমাদের সন্তান। যারা অন্যায়ের লোকজন ছিল, তাদের একের পর এক শাস্তি হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ পুনর্গঠন হচ্ছে। তারা শিগগির মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।’
পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে মন্তব্য সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘মানুষ পক্ষে–বিপক্ষে বলবে এটাই গণতন্ত্র। কেউ বলছে এটা হয়নি। আবার কেউ বলবে, এটা ভালো হয়েছে। আরেকজন বলেছে এটা কিছুই হয়নি, তোমরা আবার নতুন করে বানাও। এগুলো সবমিলিয়ে কথাবার্তা তো চলবে। আমরা কারোর মুখ চেপে ধরছি না। সরকার চায় সবাই বলুক।’