1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

স্থানীয় সরকার কাঠামোর জনপ্রতিনিধিদের জন্য এবার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। পৌরসভা-সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিতরা নির্বাচন করতে পারবেন না। এসব পদে নির্বাচিত হতে লাগবে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি।

এ ছাড়া থাকবে না সরাসরি ভোটের বিধানও। তবে সরাসরি ভোটের বিধান বলবৎ থাকবে ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচনে। কাউন্সিলর-সদস্য হতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এমন সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই প্রতিবেদন জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ— দল-পেশিশক্তি ও টাকার দাপটের কারণে শিক্ষিত মানুষ জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন, এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে।

ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, যাকে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। ইউপি সদস্যদের মধ্যে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। সভাধ্যক্ষকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। একইভাবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নির্বাচন হবে।

জানা গেছে, সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হবে চেয়ারম্যান ও মেয়রদের। তাদের বেতন কাঠামোতেও সংস্কারের প্রস্তাব আনা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান এবং পৌর মেয়রের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান হবে। স্থানীয় সরকারে উপদেষ্টা বা কোনো পদে থাকতে পারবেন না সংসদ সদস্যরা (এমপি)। সভায় উপস্থিত হয়ে শুধু মতামত দিতে পারবেন।

৫০ হাজারের চেয়ে কম জনসংখ্যার পৌরসভাকে বাতিলের সুপারিশ করবে কমিশন। এসব পৌরসভার বেশির ভাগ অতীতে দলীয় নেতাদের পুনর্বাসনের জন্য করা হয়েছে। এ ধরনের পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসের পর মাস বেতন বকেয়া থাকে। এ ধরনের প্রায় শ’খানেক পৌরসভাকে ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত করার সুপারিশ করবে কমিশন।

কমিশনপ্রধান ড. তোফায়েল জানান, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারে ভোট করতে নির্বাচন কমিশনের ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। একসঙ্গে এসব নির্বাচন করলে খরচ হতো ৬০০ কোটি টাকা। এ জন্য প্রস্তাবে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে করার সুপারিশ থাকবে। আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি