সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ময়মনসিংহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদের তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে আদালতে দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মোহা. নুরুল হুদা শরীফ আহমেদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন। এতে বলা হয়, শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানকালে শরীফ আহমেদের নিজ নামে এবং পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে, যা তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মর্মে প্রতীয়মান হয়। শরীফ আহমেদ তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রূপান্তরের মাধ্যমে নিজের ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং আইন, ২০১২-এর ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, শরীফ আহমেদ তিনটি ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অভিযোগ নিষ্পত্তির আগে সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে কমিশনের কার্যক্রম ব্যাহত হবে। অবিলম্বে তাঁর অর্জিত অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
শরীফ আহমেদের নামে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি করপোরেট শাখার দুই হিসাবে ১ কোটি করে মোট ২ কোটি এবং সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৭০ টাকা রয়েছে।