৭ জানুয়ারি, ২০২৪। স্বল্প ভোটার উপস্থিতি এবং বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা-সহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের শেষ দিকে এসে, ক্ষমতাসীন দল ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের অনেক প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
তবে ভোট গ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটাররা স্বত:স্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে কমিশন চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি।”
তার দাবি ছিলো, ”দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।’ যদিও ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন সকালে নিজের ভোট দিয়ে নির্বাচন ভবনে ফিরে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন যে তিনি ভোটকেন্দ্রে নৌকার পোলিং এজেন্ট ছাড়া অন্য কারও এজেন্ট দেখতে পাননি।
টানা পনেরো বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। সেই সাথে, দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
তবে গল্পের ক্লাইম্যাক্স শুরু হয় ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। অনেকটা সিনেমার মতো ক্ষমতার আসন ত্যাগ করে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিনটি ছিলো ৫ আগস্ট।
নির্বাচনের এক বছর পর জনগণের প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।