সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচার, সমতা এবং সাংবিধানিক শাসনের রক্ষক হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই আদালত যুগান্তকারী রায়ের মাধ্যমে শুধুমাত্র সংবিধান রক্ষা করেনি, বরং জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতাও সমুন্নত রেখেছে। মৌলিক অধিকারের পবিত্রতা রক্ষা থেকে শুরু করে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করা পর্যন্ত, সুপ্রিম কোর্ট নিপীড়ন এবং অবিচারের বিরুদ্ধে প্রাচীর হিসেবে কাজ করছে।’
সুপ্রিম কোর্ট দিবস উদযাপন-সংক্রান্ত জাজেস কমিটির সভাপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘সংস্কারের পথ সহজ বা তাৎক্ষণিক নয়, তবে আমরা, জুরিস্ট এবং আইনের অভিভাবক হিসেবে, দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি একটি সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, বিচার বিভাগের দক্ষতা নিশ্চিত করা এবং তার স্বাধীনতা বজায় রাখা। এই রোডম্যাপের মূলভিত্তি হলো প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনীয়তা। তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগকে তার সাংবিধানিক ভূমিকা সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হলে, বাইরের সব প্রভাব থেকে এটিকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।’
প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর ‘সুপ্রিম কোর্ট দিবস’ পালন করে আসছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৭ সালে, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী উচ্চ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল, এবং সেই দিনটি ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়।