আলোচিত ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনকে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে ইউএনও’র দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে সদরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিনকে। অন্যদিকে আল মামুনকে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের এক অফিস আদেশের চিঠিতে এ জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লার সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২১ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুনকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে গাইবান্ধায় বদলি করা হয়েছে। তাকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিত্ত ১১ ডিসেম্বর বিকেলে বর্তমান কর্মস্থল সদরপুর থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আল মামুন বলেন, ‘সদরপুরের ইউএনও’র পদ থেকে অবমুক্ত করা সংক্রান্ত আদেশ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পেয়েছি। চিঠিটি গত বুধবারের (১১ ডিসেম্বর) তারিখে স্বাক্ষর করা ছিল। আজ (শুক্রবার) রাতে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা দেবো।’
গত বুধবার আল মামুনের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগ তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ওইদিন দুপুরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় এমন অভিযোগ ওঠার পর ইউএনওকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান। যদিও আল মামুন ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে, আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও তাকে কর্মস্থলে পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে বুধবার রাতে সদরপুর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা ইউএনও আল মামুনকে প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ ও মৌখিক প্রত্যাহারের আদেশ ফিরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ঘটনা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তারা।