জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সেখানে তাদের দেখতে যান মাসুদ বিন সাঈদী।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তিনি আদালতে যান।
খেলাটা এখন হবে সংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বিন সাঈদী বলেন, এ কথা বলেছি মূলত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রসেঙ্গে। কারণ আওয়ামী লীগ এ ট্রাইব্যুনাল দিয়ে বাংলাদেশকে বিভাজন করেছে। এ ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করে দেশের বীর রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে। সে ট্রাইব্যুনাল আবার প্রস্তুত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ ট্রাইব্যুনালে এখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি বিশ্বাস করি না । আমরা ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি। তারা জুলুম করেছে, জুলুমের বিচার হচ্ছে; এটাই দেখতে এসছি।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর মাসুদ বিন সাঈদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ট্রাইব্যুনাল ইজ রেডি। এবার আসো খেলা হবে! খু’নি হাসিনার বানানো আইনে এবং তারই বানানো ট্রাইব্যুনালে হাসিনা আর তার দোসরদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
এর আগে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো। কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
যাদের হাজির করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।