দেশকে ভালোবেসে আগলে রাখি, তুমি কে আমি কে বাংলাদেশ,কারারই লৌহ্য কপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট, আমার বিচার তুমি কর তোমার বিচার করবে কে, চাঁদা দিলেও মাইর নিলেও মাইর, আইন মানে না যে দেশদ্রোহী সে, এমন নানান প্রতিবাদী উক্তি শোভা পাচ্ছে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে দেয়ালে।শহরের দেওয়াল গুলো দেখলেই এখন অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে।
শেরপুর শহরের যে দেয়ালে গুলোতে ছিল বিভিন্ন পণ্যের বাহারি বিজ্ঞাপনের পসরা তাকানো যেতো না বিজ্ঞাপের জন্য। বিজ্ঞাপের পাশাপাশি দলিও প্রচার তো ছিলোই। তার পরিবর্তে আজ সেখানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের রঙ তুলির ছোঁয়ায় ফুটে তুলেছে কোটা আন্দোলনের শ্লোগানসহ দেশের বিভিন্ন চিত্র আর সমাজ সংস্কারমূলক উক্তি। ক্লান্তি হীন ভাবে তারা তাদের মত করে আলপনা রংতুলি চালিয়ে যাচ্ছে।
‘এসো শেরপুর সাজাই’ গ্রুপের উদ্যোগে শেরপুর জেলা শহরের ডিসি গেইট, সরকারি কলেজ, গোপালবাড়ী, খরমপুর, থানা মোড়, খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর, কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, শিল্পকলা একাডেমি গেট সহ বিভিন্ন স্থাপনায় শিক্ষার্থীদের এমন চিত্র আঁকতে দেখা গেছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শেরপুরে আমরা বিভিন্ন স্থাপনায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন, কোটা আন্দোলন সহ নানান উক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে মেসেজ দিচ্ছি। আমরা চাই বাংলাদেশ তথা শেরপুর সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উঠুক। শেরপুরকে সুন্দর ভাবে সাজাতে আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। শহরটা আমাদের দায়িত্বটাও আমাদের আমরা আমাদের ভালো কাজ গুলো সব সময় করার চেষ্টা করবো।
একজন দর্শনার্থী বলেন, দেয়ালে দেয়ালে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের পোস্টার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। এসব পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণ করে সৌন্দর্য বাড়াতে দেয়ালে দেয়ালে লিখন চলছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উক্তি স্লোগান লিখছে দেখতে সুন্দরই লাগছে। শেরপুর একটা সুন্দর শহর আমরা সব সময় এরকম সুন্দর দেখতে চাই।
সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়্যুথ চেঞ্জ ম্যাকার বাংলাদেশের লিডার মশিউর রহমান তালুকদার বলেন শেরপুর শহর অপরিচ্ছন্ন ছিল আমরা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা সবাই মিলে কাজ করছি শহর করে পরিষ্কার করার জন্য। এখন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে রং তুলিতে দেয়াল লিখন করছে। সেই সঙ্গে দেয়ালগুলোতে বিভিন্ন চিত্র,উক্তি,ছবি আঁকা হচ্ছে। এটি পরিবেশের জন্য এবং শহর সৌন্দর্যে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।