নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩০) নামে যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার (১১ অক্টোবর) ভোরে রায়হান উদ্দিন (৩০) নিহত হন। পুলিশের দাবি, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে তিনি নিহত হন। অপরদিকে, রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত হন রায়হান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এজাহারে কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। অবশ্য মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া। ঘটনার পর থেকে তিনি কর্মস্থল কোতোয়ালির বন্দরবাজার ফাঁড়িতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতার এড়াতে এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার জানান, এসআই আকবরসহ চার পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযোগ করা হয়েছে। পলাতকের বিষয়টি তিনি জানেন না।
তিনি বলেন, সোমবার (১২ অক্টোবর) পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাদের চারজনকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন— বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন— এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।
রায়হান উদ্দিন সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার তিন মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন তিনি।