নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ষণের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে গেজেটি প্রকাশ করা হয়।
২০০৮ সালের আইনের ৭ ধারা, ৯ ধার (উপধারা ১, ৪, ৫), ১৯, ২০ ধারাসহ কয়েকটি ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন‘ সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করলো। তবে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এই অধ্যাদেশ উপস্থাপন করতে হবে। আইনটি বলবৎ রাখতে চাইলে পরে বিল আকারে তা আনবে সরকার।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এতদিন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। পাশাপাশি দুই ক্ষেত্রেই অর্থদণ্ডের বিধান আছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপ-ধারায় আগে বলা ছিল, যদি কোনও পুরুষ কোনও নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে, তাহলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী, আইনের ৯(১) উপ-ধারার অধীন ধর্ষণের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হবে।