সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে মো. রায়হান আহমদের (৩৪) মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া ফলাফল বিশ্লেষণ করে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এক আদেশে চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বাকি তিনজন হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদ। আর প্রত্যাহার করা তিনজন হলেন এএসআই আশীক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন। তাঁরা সবাই বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্তব্যরত ছিলেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা সাত পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আরেক দফা তদন্ত চলছে। এই তদন্তের পর দোষীদের রায়হান হত্যা মামলায় আসামি করা হতে পারে।
রোববার ভোরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে মৃত্যু হয় রায়হান আহমদের। ঘটনার পরপরই ফাঁড়ি পুলিশ গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে। কিন্তু গণপিটুনিস্থল হিসেবে উল্লেখ করা নগরীর কাষ্টঘর এলাকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় এ রকম কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। কারও নাম উল্লেখ না করে, শুধু একটি মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার। মামলায় অভিযোগ করেন, ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।