নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘অবমাননাকর মন্তব্য’ করায় আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তে পারবেন না। তিন মাস হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে তার প্রাকটিস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। টাকা অনাদায়ে তাকে ১৫ দিনের জেল খাটতে হবে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ফেসবুকে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের করা মন্তব্য ‘গুরুতর আদালত অবমাননাকর’ উল্লেখ করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চের নজরে আনেন। এরপর সর্বোচ্চ আদালত এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, মনসুরুল হক চৌধুরী, আব্দুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী মনজিল মোরশেদের বক্তব্য শুনেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আদালত আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের উচ্চ আদালতে আইনপেশা পরিচালনায় দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। সেই সঙ্গে ১১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এছাড়া ইউনুছ আলী আকন্দের ফেসবুক থেকে তার দেয়া স্ট্যাটাস অপসারণ (ডিলিট) করে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গতকাল ইউনুছ আলী আকন্দ সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। কিন্তু আদালত তার ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করেননি। এরপর এ বিষয়ে শুনানি শেষে আজ সোমবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন আপিল আদালত।