দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে বাড়ি থেকে লাঠিতে ভর দিয়ে ছেলের কাঁেধ হাত রেখে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করেছেন ৮৭ বছরের আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার দুপুরে ১৪৮ ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের রউজ বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করেন এই বৃদ্ধ।
আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে। একসময় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও এখন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে-বসে সময় কাটে আব্দুর রাজ্জাকের। তবে ভোটের আমেজ তাকে বিছানায় শুয়ে-বসে থাকতে দেয়নি।
রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় বাড়ি থেকে লাঠিতে ভর দিয়ে ছেলে হারুন মিয়ার কাঁধে হাত রেখে ভোটকেন্দ্রে আসেন আব্দুর রাজ্জাক। পরে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে ছেলের সাথে রওনা বাড়ির উদ্দেশে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকাল থেকেই একটু শীত শীত লাগছিল। রোদ উঠার সাথে সাথেই ছেলেকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছি। জীবনের এই শেষ সময়ে আর কখনো ভোট দেয়ার সুযোগ হয় কিনা, তাই লাঠিতে ভর দিয়ে ছেলে কাঁধে হাত রেখে ভোটকেন্দ্রে এসেছি।
আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হারুন মিয়া বলেন, বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বাবা এখন অনেকটাই শয্যাশায়ী। কিন্ত ভোটের আমেজে অংশ নিতে বাবা সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। বাবার ইচ্ছে পূরণ করতেই উনাকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসেছি। উনি ভোট দিতে পেরে মহা আনন্দিত।
ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি (নৌকা), তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জামাল উদ্দিন (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি শফিউল ইসলাম লিংকন (আম), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ হাসান অণু (কেটলি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোর্শেদুজ্জামান সেলিম (ফুলকপি), সোমনাথ সাহা (ট্রাক), নাজনীন আলম (ঈগল), রমিজ উদ্দিন (কাঁচি)।
এরমধ্যে ফুলকপি ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে মোট ভোটার ২লাখ ৭৬ হাজার ৪০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ২১৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮২৬ জন। আসনের ৯২টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮ থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।