রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে লাল গালিচার মঞ্চের চারপাশে লেখা প্রতিবাদী নানা শ্লোগান। সমাজকর্মী, সংস্কৃতি ও মানবসেবীদের আয়োজন ‘কে শুনবে সদরের কান্না’। সাংস্কৃতির কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে চলে নিজেদের দাবি পক্ষে আগামীর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করার আহবান। ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানটির।
অনুষ্ঠানে মঞ্চের চারপাশে স্থাপন করা হয় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিলো – ‘বেকারের হার কমাতে কর্মসংস্থান চাই। ব্রহ্মপুত্রের সঠিক ভাবে খনন চাই, হাসপাথে ঠাঁই নাই। খেলার মাঠ ও জলাশয় চাই। বেডে শুয়ে চিকিৎসা চাই। পরিকল্পিত বনায়নে সবুজ শ্যামল শহর চাই। নতুন বিজয় এক্সপ্রেস চাই। কমিউনিটি ক্লিনিকে পর্যাপ্ত ডাক্তার চাই। মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজবিহীন যানবাহন চলাচল চাই। জ্যামমুক্ত শহর চাই। রিকশা ভ্যানের লাইসেন্সের দাম কমাও। সংস্কৃতির নগরে সাংস্কৃতিক পল্লী চাই। হোল্ডিং টেক্স কমাও জান বাঁচাও।’ আয়োজনে গানে গানে মাতিয়ে তুলেন শিল্পিরা।
এ অনুষ্ঠানে সদর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সকল প্রার্থীদের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু এতে সংহতি জানায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্ত। এমপি হলে দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস মেলে এ প্রার্থীর পক্ষ থেকে এমনটি জানিয়েছেন আয়োজকদের একজন নাজমুল হোসেন।
তিনি বলেন, মানুষের নানা মুখী সমস্যার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে আজকের আয়োজনে। সমস্যা গুলো নিয়ে কেউ কাজ করতে এগিয়ে আসেনি। মানুষের কষ্টের কান্না কারে কানে পৌঁছায় না। আমরা চাই যারা নাগরিক সমস্যার সমাধান করবে ভোট তাদের বাক্সেই যাবে।
আয়োজনে সংহতি জানিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেট বলেন, মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্টের কথা গুলো একটি আয়োজনের মাধ্যমে তুলে আনা হয়েছে। নাগরিকদের সমস্যা গুলোর সমাধানে যোগ্যা ব্যক্তিকেই মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। এ ক্ষেত্রে নৌকাই হবে উপযুক্ত পাত্র। যার মাধ্যমে মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন নিশ্চয়ই ঘটবে।