বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
সেশনজট এড়ানোর জন্য শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বছরের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা আপাতত হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ রোববার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল জানান, আপাতত পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে সেশনজট এড়াতে ও শিক্ষার্থীদের এগিয়ে রাখার জন্য পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস অনলাইনে শুরু হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর হয়তো দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা কম সময়ের ব্যবধানে নেওয়া হতে পারে।
এদিকে ইউএনবির খবরে বলা হয়েছে, পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার কথা জানিয়ে সব বিভাগের প্রধান এবং ইনস্টিটিউটের প্রধানের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষকেরা নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩টি বিভাগ ও ১২টি ইনস্টিটিউটের মধ্যে ৪৯টি বিভাগ-ইনস্টিটিউটেই সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। প্রতি সেমিস্টার ছয় মাসের। এভাবে চার বছরে আটটি সেমিস্টারে স্নাতক ও এক বছরে দুই সেমিস্টারে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান শিক্ষার্থীরা।
প্রতি সেমিস্টারে ১৫ সপ্তাহের মতো ক্লাস চলে, এক সপ্তাহ পরীক্ষার প্রস্তুতিকালীন ছুটি ও তিন সপ্তাহ পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকে। ক্লাসের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলভিত্তিক আলোচনা, প্রেজেনটেশন, শ্রেণি পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, টার্ম পেপার ও মিডটার্ম পরীক্ষা নেওয়ার হয়। ক্লাসে উপস্থিতিসহ সেমিস্টার চলাকালে এসব মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকে প্রত্যেক কোর্সের ৫০ শতাংশ নম্বর। বাকি ৫০ শতাংশ নম্বরের মূল্যায়ন হয় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষায়।
শিক্ষার্থীদের চলতি সেমিস্টার জুলাই মাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। গত তিন মাসে কিছু বিভাগ ক্লাস শেষ করতে পারলেও বিশ্ববিদ্যালয় না খোলায় পরীক্ষা আটকে আছে। এরই মধ্যে পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে ছুটি চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।