জামালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিনটি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র, তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে সমর্থকরা, এরপর পুলিশ ও র্যাবের লাঠিচার্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সাংবাদিকসহ বেশকয়েকজন সমর্থক আহত হয়।
বুধবার রাতে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা পূর্ব বাজারের গোলাম আলী মার্কেটে ও খড়খড়িয়া এলাকায় জামালপুর- ৫ সদর আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর দুইটি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এরপর একই ইউনিয়নের মহেশপুর কালিবাড়ীতে আরও একটি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে নৌকার সমর্থকরা। হামলায় ঈগলের সমর্থক খোকা, দুদু, শফিক, ইয়ার আলীসহ দিলবাহার নামে এক নারী পথচারী আহত হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ঈগলের সমর্থকরা প্রায় দুই ঘন্টা জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরকত উল্লাহর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার সময় পুলিশ ও র্যাবের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে।
এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরকত উল্লাহ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরুজ্জামান ফকির। এছাড়াও এনটিভির সাংবাদিক আসমাউল আসিফসহ ৫ জন সাংবাদিক ও অন্তত ১০ জন ঈগলের সমর্থক পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে। আহতদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীরের সাথে যোগাযোগ করলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।