শেরপুরে ৩ মিনিট্রাক ভর্তি ভারতীয় চোরাই চিনিসহ ৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ৯ ডিসেম্বর শনিবার সকালে সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের আমতলী এলাকা থেকে বস্তাভর্তি চিনি ও ট্রাকসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছেন জামালপুর সদর উপজেলার বন্দেরবাড়ী এলাকার নওশের আলীর ছেলে মো. আনিছ (২৮), একই উপজেলার লাঙ্গলজোড়া এলাকার মো. বেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. মানিক উদ্দিন (৩৫), ইসলামপুর উপজেলার ব্রহ্মত্তোর গ্রামের মো. আব্দুল ওয়ারেসের ছেলে মো. আইয়ুব আলী (৩৭), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চিকনা এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. নাজমুল (২৪) ও শেরপুর সদর উপজেলার হাতিআগলা গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে মো. মাহাদী হাসান সিয়াম (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থেকে চোরাইপথে আনা ভারতীয় চিনিভর্তি ৩টি মিনি ট্রাক জামালপুর নিয়ে যাচ্ছিলো মানিক ও আইয়ুব আলীসহ তার সহযোগীরা। শনিবার সকালে ট্রাকগুলো শেরপুর সদর উপজেলার আমতলী মোড়ে গেলে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা ট্রাকগুলোকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩টি মিনিট্রাকে ভর্তি ১৫০ বস্তা চিনিসহ চিনির মালিক মানিক উদ্দিন ও আইয়ুব আলী, ট্রাকচালক নাজমুল, আনিছ ও স্থানীয় মাহাদী হাসান সিয়ামসহ ৫জনকে আটক করে পুলিশ। জব্দকৃত চিনির মধ্যে ৫০ বস্তা বাংলাদেশী এবং ১০০ বস্তা চোরাই ভারতীয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক চিনির মালিক মানিক উদ্দিন ও আইয়ুব আলী পুলিশকে জানিয়েছে, জব্দকৃত চিনি তারা জামালপুরের লাঙ্গলজোড়া নিয়ে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তারা ময়মনসিংহের ধোবাউড়া, হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে ভারতীয় চিনি কেনা-বেচা করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে চোরাই চিনির ট্রাক আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি মিনি ট্রাকসহ দেড়শ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।