দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শেরপুর-১ (সদর) আসনের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুসহ ৪ নেতাকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর শনিবার ওই নির্দেশ দেন একই নির্বাচনী এলাকার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মাহবুব আলী মুয়াদ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানু ব্যতীত অপর ৩ নেতা হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার কামাল। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানুকে ১০ ডিসেম্বর রবিবার সকাল সাড়ের ১১টার মধ্যে স্বয়ং স্ব-শরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান এবং অপর ৩ জনকে একই সময়ে অনুসন্ধানের প্রয়োজনে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই অনুসন্ধান কমিটির বেঞ্চ সহকারী মো. সিদ্দিক আলম জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ৬, ১১ ও ও ১২ ধারার বিধানসমূহ লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানুসহ তার সমর্থক ৪ জনের প্রতি নোটিশ ইতোমধ্যে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সূত্র জানায়, প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ ও প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকলেও গত ৪ ডিসেম্বর শহরের বাগরাকসা মহল্লায় প্রিজম প্রিপারেটরী স্কুলে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানুর তরফ থেকে নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়। সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ প্রায় ২ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানু তার সমর্থক নেতা-কর্মীদের নিয়ে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ওইসব সমাবেশ ও প্রচারণার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়। এ প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পায়।