ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২০৩টি। যেখানে ময়মনসিংহ জেলার ১১ আসনে ১০৬টি, নেত্রকোনার ৫ আসনে ৩৭টি, শেরপুরের তিন আসনে ২২ এবং জামালপুরের ৫ আসনে ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
ময়মনসিংহের ১১টি আসনে মোট ১০৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১১, দুই সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র ২৯, জাতীয় পার্টির ১১, জাসদের ৭, তৃণমূল বিএনপির ৬, বিএনপির সাবেক দুই এমপিসহ স্বতন্ত্র ৯ এবং অন্যান্য দলের ৩৪ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে ৮ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ খান, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম, জাতীয় পার্টি থেকে অ্যাডভোকেট কাজল চন্দ্র মহন্ত, তৃণমূল বিএনপির মার্শেল মালেশ চিরান, ইসলামি ঐক্যজোটের মাহবুবুর রহমান, মুসলিম লীগের মোখলেসুর রহমান, মুক্তজোটের রোকেয়া বেগম।
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১০ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় পার্টির এনায়েত হোসেন মন্ডল, জাসদের শিব্বির আহমেদ লিটন, ইসলামী ঐক্যজোটের মুহাম্মদ তৈয়োব হোসাইন, জাতীয় পার্টি (জেপি) শেখ আলাউদ্দিন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কামরুল হাসান, জাকের পার্টির রঞ্জিত সাহা, মুক্তজোটের তোফাজ্জল হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শাহ্ শহীদ সরোয়ার।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে ১৫ মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নীলুফার আনজুম পপি, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নাজনীন আলম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ হাসান অনু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ড. একেএম আব্দুর রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুর্শেদুজ্জামান সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রমিজ উদ্দিন, জাতীয় পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, জাকের পার্টির নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) শফিউল ইসলাম, তরীকত ফেডারেশনের ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ ড. বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন আজাদ।
ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে মোট ১২ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্ত, নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম, জাতীয় পার্টির আবু মো. মুসা সরকার, জাসদের নজরুল ইসলাম চুন্নু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পরেশ চন্দ্র মোদক, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সেলিম খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হামিদুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির দীপক চন্দ্র গুপ্ত, জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন, তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিত ভাদুড়ি, স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন খান দুলু প্রার্থী হয়েছেন।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে ১০ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই আকন্দ, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, জাসদের শামসুল আলম খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শাহীনুর আলম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির রফিকুল ইসলাম রবি, জাকের পার্টির আজহারুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপল্স পার্টির সামান মিয়া ও স্বতন্ত্র ফয়জুর রহমান মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে ১০ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন, নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্যের মেয়ে সেলিমা বেগম সালমা, জাতীয় পার্টির মাহফিজুর রহমান বাবুল, জাপার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ডা. কে আর ইসলাম, জাসদের শফিকুল ইসলাম মিন্টু, জাকের পার্টির এস এম দেলোয়ার হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আব্দুর রশিদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম খান।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী, নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান খান, পৌর মেয়র এবি এম আনিসুজ্জামান আনিস, জাতীয় পার্টির আব্দুল মজিদ, জাসদের রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির জুয়েল রানা, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল মালেক ফরাজি, মুক্তিজোটের বাদশাদ দেওয়ান এবমগ আব্দুল মনসুর ফকির, বাবুল আহেম্মেদ স্বতন্ত্র হিসেবে জমা দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুছ ছাত্তার, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল আলম প্রদীপ, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবদুল্লাহ আল মামুন, স্বতন্ত্র হিসেবে ব্যবসায়ী খিজর হায়াত খান ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামান মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের ৬ প্রার্থী জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন, জাতীয় পার্টির হাসমত মাহমুদ, জাকের পার্টির শফিকুল আলম ও তৃণমুল বিএনপির আবু জুনাঈদ বিল্লাল, জাসদের এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র এডভোকেট কায়সার আহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড: মোহাম্মদ আবুল হোসেন দীপু, জাতীয় পার্টির নাজমুল হক, জাকের পার্টির আনোয়ার হোসেন, গণফ্রন্টের দ্বীন ইসলাম।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১০ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু, নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমএ ওয়াহেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন, তরিকত ফেডারেশন কায়কোবাদ হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জিয়াউদ্দিন বাশার, তৃণমূল বিএনপির নাসির উদ্দিন, জাসদের সাদিক হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মো. মতিউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান ফকির মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নেত্রকোনা
নেত্রকোনা জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের ৫ জন, জাতীয় পার্টির ৫ জন, স্বতন্ত্র ১১ জনসহ অন্যান্য দলের মোট ৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়র পত্র জমা দিয়েছেন। তার মধ্যে স্বতন্ত্র হিসেবে ৫টি আসনে ১১ জন নির্বাচনে লড়বেন নৌকার বিপক্ষে, তারা সবাই দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নিবার্চনে অংশ নিচ্ছেন।
নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দূর্গাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ রুহী ছাড়াও জাতীয় পার্টির থেকে গোলাম রব্বানী,জাকের পার্টির ছামের উদ্দিন, বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক জোটের প্রার্থী আহমদ শফি, স্বতন্ত্র হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা,আফতাব উদ্দিনসহ মোট ৫ জন জমা দিয়েছেন।
নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু ছাড়াও জাতীয় পার্টির থেকে মোছা. রহিমা আক্তার,জাকের পার্টির মানিক চন্দ্র সরকার, পিপুলস পার্টি, মো. আমজাদ হোসেন ঠাকুর, ইসলামি ঐক্যজোট মো. ইলিয়াস, বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী আন্দোলন এবিএম রফিকুল হক তালুকদার, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী আজহারুল ইসলাম খান, স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সুব্রুত চন্দ্র সরকার।
নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অসীম কুমার উকিল, ছাড়াও জাতীয় পার্টির থেকে জসীম উদ্দিন ভুইয়া, জাকের পার্টির মো. সুরুজ আলী, পিপুলস পার্টি, মো. আসাদুজ্জামান খান ,ইসলামি ঐক্যজোট মো. এহতেসাম সারওয়ার,তৃণমূল বিএনপির মিজানুর রহমান খান, কৃষক শ্রমীক লীগের প্রার্থী রিগ্যান আহমেদ, স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক সাংসদ ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, সাবেক সাংসদ মনজুর কাদের কৌরাইশী, মো. আব্দুল মতিন।
নেত্রকোনা-৪ (মদন,মোহনগঞ্জ,খালিয়াজুড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান ছাড়াও জাতীয় পার্টির থেকে লিয়াকত আলী খান এডভোকেট, জাসদের মো. মুশফিকুর রহমান, স্বতন্ত্র হিসেবে শফি আহমদ।
নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমদ হোসেন ছাড়াও জাতীয় পার্টির থেকে ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের প্রার্থী মো. শামীম মিয়া, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াহহাব হামিদী, স্বতন্ত্র হিসেবে আনোয়ার হোসেন, মিজবাহুজ্জামান, মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির।
শেরপুর
শেরপুরের তিনটি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ২২ জন প্রার্থী।
শেরপুর-১ (সদর) আসনে মনোনয়ন জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি ও জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. ইলিয়াছ উদ্দিন, জাকের পার্টির আহসানুল হক আকন্দ, বিএনএম প্রার্থী এডভোকেট মোঃ আব্দুল্লাহ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট মুখলেছুর রহমান আকন্দ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনিত প্রার্থী বারেক বৈদেশী তৃণমূল বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মো, ফারুক হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনোনিত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদের উপনেতা ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির জাহেদুল রশিদ শ্যামল, জাসদের প্রার্থী লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ।
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম, বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএমএ আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈম, সাবেক এমপি মরহুম এমএ বারীর ছেলে মোহসীনুল বারী রুমী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান রাজা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ এম ইকবাল হুসাইন, জাতীয় পার্টির ইঞ্জিনিয়ার মো, সিরাজুল হক, জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো, ইকবাল আহসান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত প্রার্থী সুন্দর আলী।
জামালপুর
জামালপুরে ৫ টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, স্বতন্ত্রসহ ৩৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশিগঞ্জ) আসনে ৬ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন৷ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুর মোহাম্মদ, জাতীয় পার্টির আবু সায়েম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও স্বতন্ত্র জিয়াউল হক, মো: মাহবুবুল হাসান।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের থেকে ফরিদুল হক খান দুলাল, জাতীয় পার্টির মোস্তফা আল মাহমুদ, তৃনমূল বিএনপির হোসেন রেজা বাবুল, জাকের পার্টির আব্দুল হালিম মন্ডল ও স্বতন্ত্র থেকে তিন জন শাজাহান আলী মন্ডল, শাহীনুজ্জাম শাহীন, জিয়াউল হক জিয়া।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসেন ৫ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা আজম, জাতীয় পার্টির মীর সামসুল আলম লিপ্টন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (জেপি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন।
জামারপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল, জাতীয় পার্টির আবুল কালাম আজাদ, জাকের পার্টির এস এম রবিউল ইসলাম , তৃনমুল বিএনপির মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম টুকন , জাসদ গোলাম মোহাম্মদ জিন্নাহ ও স্বতন্ত্র থেকে সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান, সানোয়ার হোসেন বাদশা, অধক্ষ্য আব্দুর রশিদ, তারিখ মাহদী।
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে ১১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির (জাপা) এর জাকির হোসেন খান, জাতীয় পার্টি (জেপি) এর অ্যাডভোকেট বাবর আলী খান, বাংলাদেশে কংগ্রেস থেকে দুইজন আবু সায়মে মোহাম্মদ সাদাত উল করিম, আব্দুল করিম সরকার, জাকের পার্টির সৈয়দ মনিরুল হক নোবেল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। স্বতন্ত্র থেকে অ্যাডভোকেট সাবিরুজ্জামান, রেজাউল করিম রেজনু, মোহাম্মদ আলী ও জাকির হোসেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।