জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য দুবাই নিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে স্বামীর নাকে ঘুষি মারেন স্ত্রী। সেই এক ঘুষিতেই প্রাণ হারিয়েছেন স্বামী। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে। আজ শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুনের ওয়ানাবদি এলাকায় ৩৬ বছর বয়সী এক স্বামীর নাকে ঘুষি মেরে হত্যা করেছেন স্ত্রী। জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় স্বামীর নাকে ঘুষি মেরেছিলেন ওই স্ত্রী।
গতকাল শুক্রবার পুনের ওয়ানাবদি এলাকার একটি আবাসিক ভবনে ওই দম্পতির অ্যাপার্টমেন্টে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম নিখিল খান্না। নির্মাণশিল্পের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। ছয় বছর আগে রেনুকা নামের ওই নারীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
ওয়ানাবদি থানার জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, গতকাল দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে দুবাইয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় এবং বিলাসবহুল উপহার না দেওয়ায় নিখিলের সঙ্গে রেনুকার ঝগড়া হয়। এ ছাড়া কিছু আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য রেনুকা দিল্লি যেতে চাইলেও তাঁর স্বামী অনুমতি দেননি।
পুলিশ বলছে, এ নিয়ে দুজনের মাঝে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নিখিলের নাকে ঘুষি মারেন রেনুকা। আর ঘুষির আঘাত এতটাই বেশি ছিল যে নিখিলের নাক ও কিছু দাঁত ভেঙে যায়। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে নিখিল জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে মারা যান তিনি।
পুলিশ এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার আওতায় রেনুকার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। স্বামীকে হত্যার দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।