জামালপুরে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের ভক্তদের মারধর ও মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের দেওয়ানপাড়ায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দরবারের ভক্তবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আজমীরগঞ্জ দরবারের চতুর্থ খলিফা হযরত সাইম খাজা নূরে চিশতী।
তিনি অভিযোগ করেন, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের তৃতীয় খলিফা ড. খাজা নাসিরুল্লাহ মৃত্যুর পূর্বে আমাকে চতুর্থ খলিফা মনোনীত করে ভক্তদের জানিয়ে গেছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখে ড. খাজা নাসিরুল্লাহ ওফাত গ্রহণ করেন। এরপর আমি খলিফা মনোনীত হওয়ার পর থেকে ড. খাজা নাসিরুল্লাহর ভাই আমার চাচা তৌহিদুল্লাহ ও শাহীনেওয়াজ শত্রæতাবশত আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়াও আমাকে স্বাধীনভাবে চলাফেরায় বাধা ও ভক্তদের নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়ায় এক ভক্ত রমজানের বাড়িতে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে যাওয়ার জন্য আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফ হতে কাফেলা নিয়ে বের হওয়ায় সময় সন্ধ্যায় আমার চাচা তৌহিদুল্লাহর নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে আমার কাফেলায় হামলা করে। হামলা চালিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ১০ জন নারী ও পুরুষ ভক্তকে গুরুত্বর আহত করে। পরে তাদের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপরে সন্ত্রাসীদের নিয়ে তৌহিদুল্লাহ দরবারের আটচালায় বৈঠকে তারা আলোচনা করে যে, এই মামলা-হামলা করেও যদি আমাকে ও আমার ভক্তদের কোন প্রকার ক্ষতিসাধন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা নিজেরা তাদের নিজেদের পক্ষের কোন একজনকে নিজেরাই হত্যা করবে এবং সেই হত্যার দায় আমার ও আমার ভক্তদের উপর চাপিয়ে দিবে।
তাদের এই দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্রের কারণে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি, আমার পরিবার ও ভক্তরা খুবই শঙ্কায় রয়েছি। তিনি দরবার শরীফে ভক্তদের অবাধে যাতায়াত ও অবস্থান করার ক্ষেত্রে যেন কোনরূপ বাধা-বিপত্তি না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।