বিএনপি’র ডাকা ২৯ অক্টোবর রবিবারের হরতালে নাশকতা ও নৈরাজ্যের চেষ্টার অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ সোয়া ৪শ’ নেতাকর্মীর নামে বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপি নেতাকর্মীরা অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টাকালে বেশ কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল, লাঠিসোঠা ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসাথে জেলার ৫ থানায় ৬টি মামলায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে, শ্রীবরদী থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ২টি এবং শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী, নকলা ও নালিতাবাড়ী থানায় ১টি করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। শ্রীবরদীতে ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ১০টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করে রবিবার বিকেলে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে হরতাল কর্মসূচিতে নাশকতা করার জন্য মাইক্রোবাসযোগে ঢাকায় যাওয়ার পথে শনিবার রাতে শ্রীবরদী চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপি’র ১১ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এসময় মাইক্রোবাস তল্লাসী করে অবিস্ফোরিত ৫টি ককটেল ও ৩ ফুট সাইজের ১০টি লাঠিসোঠা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শ্রীবরদী কাঁচাবাজার এলাকায় রবিবার সকালে নাশকতার চেষ্টার প্রস্তুতিকালে আরও ১৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে রবিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন আনোয়ার হোসেন (৫৫), রহুল আমীন (৪০), আজিজুর রহমান (৫২), ফরিদুল হক (৪৫), ফারুকুল ইসলাম (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৪৭), সোহেল (২৭), শফিকুল ইসলাম (৪৫), হারুন অর রশিদ (২২), মোক্তার হোসেন (৫০) ও আবু তালেব (৪০) প্রমুখ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা বছির আহমেদ বাদল জানান, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টাকালে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ৫৭ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ১০ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।