জামালপুরে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপ-মহাব্যবস্থাপকের (বাণিজ্যিক) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে সমনজারীর আদেশ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জামালপুর যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মোঃ আশরাফুল আলম মানিক নামে এক ঠিকাদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার আওতাধীন শেরপুর বাফার গুদামের জন্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন বস্তাবন্দি ৫০ কেজি ওজনের ইউরিয়া সার ভর্তি বস্তা গুদামের যেখানে যে অবস্থায় থাকবে সেখান থেকে মাথায় বহন করে পরিবহনে বোঝাই এবং প্রয়োজনে রি-ব্যাগিং কাজের জন্য চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল জেএফসিএল/বিপণন/বাফার(শেরপুর)/২০২২-২০২৩/৬৫৩ স্মারকে দরপত্র আহ্বান করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দরপত্রের মাধ্যমে উক্ত কাজ করে আসছিলেন যমুনা সার কারখানার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার মেসার্স মাজেদা ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আশারাফুল আলম মানিক। দরপত্রের শর্তানুযায়ী তার কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই এবং কাজের বিল পরিশোধ না করেই নতুন করে ওই কাজের দরপত্র আহ্বান করায়, উক্ত দরপত্র কার্যক্রমের উপর স্থগিদাদেশ চেয়ে আদালতে মামলা করেন ঠিকারদার আশরাফুল আলম মানিক। ওই মামলায় গত ৪ জুলাই উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ২৭ জুলাই আদেশ দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ ছিলো। কিন্তু আদালতের ব্যস্ততার জন্য ২৭ জুলাই আদেশ প্রদান না হওয়ায় বিবাদী পক্ষ আদালত বদলী চেয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মিস বদলী মামলা করে। তাদের ওই মামলার গ্রহণ শুনানীর তারিখ ছিলো ২১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বিবাদী পক্ষ আদালতের আদেশ হওয়ার আগেই চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল জেএফসিএল/বিপণন/বাফার(শেরপুর)/২০২২-২০২৩/৬৫৩ স্মারক মূলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় দরপত্র আহ্বান এবং দরপত্রের কার্যক্রম করে। এই ঘটনায় যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করেছে উল্লেখ করে ঠিকাদার আশরাফুল আলম মানিক মঙ্গলবার বিকেলে জামালপুর যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্যাহ খান এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ও বিভাগীয় প্রধান (বাণিজ্যিক) মোঃ আব্দুল হামিমের নামে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারীর আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী জানান, আদালত নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আদেশ দেওয়ার পূর্বেই দরপত্রের কার্যক্রম করায় সুস্পষ্টভাবে আদালত অবমাননা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্যাহ খানের সাথে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।